ইভ্যালির অস্বাভাবিক কমিশনে পণ্য বিক্রয় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে কমিশন বিজ্ঞ সদস্য মহোদয়বৃন্দের সাথে আলোচনাক্রমে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে কমিশনের একজন কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পর্যালোচনা পূর্বক ইভ্যালির কতিপয় কার্যক্রম প্রতিযোগিতা আইন ২০১২, এর ১৫ ও ১৬ ধারা লঙ্ঘন করেছে মর্মে কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হওয়ায় ০৩/২০২০ নম্বর স্ব-প্রণোদিত মামলা শুরু করা হয় ।
কয়েক দফা শুনানি শেষে ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ প্রদান করা হয় । উক্ত আদেশে ইভ্যালিকে বাজারে প্রতিযোগিতা আইনের বিরোধী এবং বিরুপ প্রভাব সৃষ্টিকারী কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রায় না হওয়া পূর্ব পযর্ন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয় । তদন্ত সম্পন্ন করার জন্য কমিশন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেয় । তদন্ত কমিটি করোনাকালীন সংকটের মধ্যেও তদন্ত কাজ পরিচালনা করে এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে এবং ইভ্যালির সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আরজেএসসি , ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন সংগ্রহ করে আর্থিক-প্রতিবেদন সত্যতা যাচাই করে তদন্ত শেষ করে। বর্তমানে মামলাটি রায়ের পর্যায় রয়েছে ।