Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd নভেম্বর ২০২২

NEED FOR AN EFFECTIVE COMPETITION REGIME IN BANGLADESH’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩-১০-২০২২ তারিখে।


প্রকাশন তারিখ : 2022-10-24

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ ২৩ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ রোজ- রোববার বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের আয়োজনে ‘NEED FOR AN EFFECTIVE COMPETITION REGIME IN BANGLADESH’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সম্মানিত চেয়ারপার্সন জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি, এম.পি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জনাব শামসুল আলম, এফবিসিসিআই এঁর প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন,ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট, কমিশনের বিজ্ঞ সদস্যমণ্ডলী জনাব জি. এম. সালেহ উদ্দিন, ড. এ এফ এম মনজুর কাদির, জনাব নাসরিন বেগম, জাস্টিসিয়া লিগ্যাল মাইন্ডসের কতৃর্পক্ষ, কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টামণ্ডলী, কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যবসায়ীবৃন্দ, গণমাধ্যম প্রতিনিধিগণ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সহযোগী ছিল জাস্টিসিয়া লিগ্যাল মাইন্ডস প্রতিষ্ঠান।

মুক্তবাজার অর্থনীতির দেশ হলেও, দেশের পণ্যবাজার স্থিতিশীলতার স্বার্থে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।নিত্যপণ্যের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তি দেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘সবশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৩০ থেকে ৩৫টি বড় বড় ব্যবসায়ী ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা করত। তত্ত্বাবধায়কের যৌথ বাহিনীর হামলায় অনেকে রাগ করে, অনেকে লজ্জায়; আবার অনেকে ইচ্ছে করে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে। অনেক বড় বড় কোম্পানি এখন আর খাদ্যপণ্যের ব্যবসা করে না। ব্যবসা পরিবর্তন করে ফেলেছে। এখন মাত্র ৭ থেকে ৮ জন এসব ব্যবসা করে। এতে বাজার গুটিকয়েক মানুষের হাতে চলে গেছে।’এইদিকে নিত্যপণ্যের বিশ্ববাজার অস্থিতিশীল। এই অবস্থায় যতই মুক্তবাজার অর্থনীতির দেশ না কেন, কিছু পণ্য আছে, অনেক দেশের সরকার এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটা আমাদের এখানেও করা উচিত। তবে পণ্য মূল্য বেঁধে দেওয়ার জন্য সরকারের আলাদা পরিকল্পনা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

বাজারে ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘চাল ও আলুর মতো পণ্যের উৎপাদনের তথ্যের সঙ্গে ভোগের তথ্যের কোথাও একটা গরমিল আছে। যার কারণে উৎপাদন ভালো হয়েছে বলা হলেও আবার আমদানি করতে হয়। সুতরাং, সঠিক হিসাবও আমাদের জানা দরকার। আবার দেখা যায়- বড় ব্যবসায়ীদের চাপে ছোট ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এটা কিন্তু অনৈতিক ও প্রতিযোগিতা বিরোধী। এদিকে, ব্যবসায়ীদের যদি সিস্টেমে না আনা যায়, তাহলে তারা লাভ করা ছাড়া আর কিছু বোঝো না।’

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ’বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। তবে একই সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুরক্ষাও দিতে হবে। হয়রানি করা যাবে না। ' তবে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের লোকবল বাড়ানো দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং এই বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন জনাব মোঃ মফিজুল ইসলাম দেশের বাজারে প্রতিযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।তিনি বলেন প্রতিযোগিতা বিদ্যমান থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ২৩-২৫% কমে যাবে।ব্যবসায়ে প্রতিযোগিতা বজায় রাখলে উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সকলেই উপকৃত হবে এবং ব্যবসার বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এতে অর্থৈনতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের গঠন,লক্ষ্য- উদ্দেশ্য, কার্যক্রম, প্রতিযোগিতা আইন,২০১২সহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করে কমিশনের বিজ্ঞ সদস্য জনাব জি. এম. সালেহ উদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কমিশনের বিজ্ঞ সদস্য জনাব নাসরিন বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাস্টিসিয়া লিগ্যাল মাইন্ড সদস্য ব্যারিস্টার তাসনুভা শেলী, কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা জনাব এম.সিদ্দিক খান, ব্যারিস্টার মাফরুহা মারফি।